আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু করেছে বিএনপি। এখন একক প্রার্থী নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় দলটি।
Advertisement
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে মিত্রদের আসন ছাড়ের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে কোন কোন আসনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে তাও অক্টোবরে মৌখিকভাবে জানানো হতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তফশিলের আগেই ৩০০ আসনের অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি চলছে। অধিকাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জামায়াতকে কি ক্ষমতায় দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র?
ইতোমধ্যে একাধিক জরিপের তথ্য দলটির হাইকমান্ডের কাছে রয়েছে। আবার সাংগঠনিক টিম দিয়েও সব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তালিকা নিয়ে সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে ভার্চুয়ালি বৈঠকও করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক জরিপ ও সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে পাওয়া তালিকা সমন্বয় করে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হতে পারে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরও পড়ুন
নিজেদের অবস্থান ও টিকে থাকার অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত এনসিপি
নিজেদের অবস্থান ও টিকে থাকার অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত এনসিপি
নেতারা জানান, ৩শ সংসদীয় আসনের মধ্যে দেড়শ আসনের প্রার্থিতা নিয়ে তেমন ভাবছে না দলটি। হাইকমান্ড মনে করছেন, এসব আসনে দলীয় প্রার্থিতা নিয়ে তেমন সমস্যা বা জটিলতা নেই। এই আসনগুলোর প্রার্থীরা মোটামুটি নির্ধারিত। বাকি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে বেশ তৎপর বিএনপি। এর মধ্যে বেশকিছু আসন ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের জন্য ছাড়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে দলটির।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা যুগান্তরকে বলেন, ঠিক কয়টি আসন মিত্রদের ছাড় দেওয়া হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া শেষ করে দলের একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। আর মিত্রদের আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের (মিত্র রাজনৈতিক দল) সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
ওই নেতা আরও বলেন, প্রার্থী চূড়ান্তের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এলাকায় জনপ্রিয় ক্লিন ইমেজধারীরা প্রাধান্য পাবেন। এই বিবেচনায় মনোনয়নে এবার ‘চমক’ আসতে পারে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে।
বিএনপি তারেক রহমান